অ্যালার্জি হওয়া খাবারের তালিকা, শরীরের প্রতিক্রিয়া, ও প্রাথমিক চিকিৎসা জানুন। ঘরোয়া ও ডাক্তারি সমাধান একসাথে
Table of Contents
খাদ্য এলার্জি হলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমের একটি প্রতিক্রিয়া, যেখানে নির্দিষ্ট খাবারকে ক্ষতিকর মনে করে এন্টিবডি উৎপন্ন করে। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন ত্বকে ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, কিংবা পেটের সমস্যা।
এই এলার্জি সাধারণত এমন কিছু খাবারের কারণে হয়ে থাকে, যা শরীরের জন্য সাধারণত নিরাপদ হলেও, কিছু ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে।
এলার্জি সৃষ্টিকারী প্রধান খাবারসমূহ
নিম্নলিখিত খাবারগুলি সাধারণত এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে:
গরুর মাংস
অনেকের ক্ষেত্রে গরুর মাংসে এলার্জি হতে পারে, যা ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে।
চিংড়ি মাছ
চিংড়ি মাছে থাকা প্রোটিন অনেকের জন্য এলার্জির কারণ হতে পারে।
ইলিশ মাছ
ইলিশ মাছও কিছু মানুষের মধ্যে এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
গরুর দুধ
গরুর দুধে উপস্থিত প্রোটিন কিছু মানুষের মধ্যে এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
লাল রঙের সবজি
গাজর, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো ইত্যাদি লাল রঙের সবজিতে এলার্জির সমস্যা হতে পারে।

খাদ্য এলার্জির লক্ষণসমূহ
খাদ্য এলার্জির লক্ষণগুলি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি দেখা যায়:
- ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ি
- মুখ, ঠোঁট বা গলার ফোলা
- শ্বাসকষ্ট
- পেটের ব্যথা, বমি বা ডায়রিয়া
আরো জানুন
খাদ্য এলার্জির প্রতিকার ও প্রতিরোধ
খাদ্য এলার্জি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
এলার্জি সৃষ্টিকারী খাবার পরিহার করা
নিজের এলার্জি সৃষ্টিকারী খাবারগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি পরিহার করা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
এলার্জির লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
এন্টি-হিস্টামিন ওষুধ সেবন
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টি-হিস্টামিন ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
ইমিউন থেরাপি
কিছু ক্ষেত্রে ইমিউন থেরাপি দ্বারা এলার্জি প্রতিক্রিয়া কমানো সম্ভব।